আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চান হাজব্যান্ড যদি পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত হয় তাহলে কিভাবে তাকে স্বাভাবিক করবেন? জেনে নিন আজকের টিপস গুলো।
ছেলেদের একটি ডার্ক ফ্যান্টাসি হলো পর্ন মুভি দেখা। ছোটবেলা থেকে যারা পর্ন মুভি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত তারা বিয়ের পরেও এই পর্ন মুভি দেখা ছাড়তে পারে না। পর্ণ আসক্তি এক ধরনের মানসিক বিকার। সস্তা দৈহিক উত্তেজনা ও শরীরের কামোত্তেজিত ভাব হস্তমৈথুনের মাধ্যমে দমনের জন্যই ছেলেরা পর্ন দেখে থাকে।
নীরা নামের একজন আমাদের ফেসবুক পেজে জানতে চেয়েছেন কিভাবে পর্ণ আসক্তি থেকে তার প্রেমিককে দূরে সরাবেন তার প্রশ্ন সহ উত্তর আমরা জানিয়ে দিচ্ছি।
আমার সঙ্গে আমার প্রেমিকের দেড় বছরের সম্পর্ক। আমরা দুজন দুজনকে খুবই ভালোবাসি। বিশ্বাস করি। কিন্তু ও সম্প্রতি আমায় জানিয়েছে যে ও পর্নোগ্রাফি দেখতে ভালোবাসে। এবং দেখে মজা প্রায়। প্রায়শই নাকি দেখে। এই কথা শোনার পর আমি কিছুই বলতে পারিনি, কিন্তু মনে মনে খুবই ভয় পেয়েছি। পরে আমি বুঝতে পেরেছি ও পর্নোগ্রাফি দেখার কিছুক্ষণ পরই আমরা সেক্স করি। আমি বুঝতে পারছি না বিষয়টা কিভাবে নেবো। এটা কি খুব সাধারণ বিষয়? নাকি আমার প্রেমিক বিকারগ্রস্ত? আমার কি ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখা উচিত? এরকম প্রশ্ন কমবেশি অনেক মেয়ের কাছেই থাকে। অনেককেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগে পর্নোগ্রাফি দেখার প্রবণতা অনেক ছেলের মধ্যেই দেখা যায়। গবেষণা এমন কথাই বলছে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই দেখার প্রভাব পড়ে। অনেকেরই পড়ে না। তবে যদি কোন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলে আমি পর্নোগ্রাফি দেখতে ভালোবাসি, সেটা অবশ্যই তার কাছে ভয়ের কারণ। মেয়েটি হয়তো তার সঙ্গে আর সহজভাবে মিশতে পারবে না। কিন্তু এই ধরনের সিনেমা যদি কেউ দেখে তা কোনও রোগের লক্ষণ নয়। অভ্যেসে পরিণত করে ফেললেই মুশকিল। এবং তা কিন্তু পরবর্তীতে যৌন জীবনেও প্রভাব ফেলে।
কিন্তু এতটুকুতেই সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার কথা না ভাবাই ভালো। যে কোনও সম্পর্কে সবচেয়ে জরুরি পারস্পরিক বোঝাপড়া বজায় রাখা। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে এসব কারণ তখন তুচ্ছ হয়ে যায়। কেউ পর্ণ দেখলেই খারাপ হয়ে যায় না। দ্বিতীয়ত, আপনার খারাপ রাখলে বিষয়টি নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। তাঁকে বোঝান এৎ খারাপ দিকগুলি কি কি। তবে হ্যাঁ, যদি দেখেন পর্নোগ্রাফিতে যা দেখেন তাই আপনার উপর প্রয়োগ করে দেখতে চান তাহলে তা বাড়াবাড়ি। সেক্ষেত্রে মনে হলে অবশ্যই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
গবেষকদের মতে, প্রতিদিন যদি আপনি একই কাজ করেন তাহলে বাস্তবে মানে সহবাসের সময় আপনার রোমাঞ্চটাই শেষ হয়ে যায়। সহবাসের আনন্দ উপভোগ করার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের অন্যতম নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন দায়ী। কিন্তু প্রতিদিন পর্নোগ্রাফি দেখলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে ব্যাপারটার সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর মনও সেখানে খুঁজে পায় না নতুন কোনও রোমাঞ্চ। আর শারীরিক ক্ষতি তো রয়েছেই।
এছাড়া ঘন ঘন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কাজ-কর্মে উদাসীনতা দেখা দিতে পারে। মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। হারাতে পারেন স্মৃতিশক্তিও।
শুধু তত্ত্বকথাই নয়। এ নিয়ে বাস্তবেও গবেষকরা অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছেন, যারা কৈশোর থেকে নিয়মিত এইসব সাইট দেখতেন। তাদের সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি, প্রথম প্রথম পর্নোগ্রাফি দেখে খুব উত্তেজিত লাগলেও, পরে ওই নকল জিনিসগুলো বহুবার দেখতে দেখতে নতুন কোনও কিছু খুঁজে পেতাম না।
আর বিয়ের পর সহবাসের সময় জোর করে মনে এরকম কোনও অনুভূতি বা রোমাঞ্চ আনাটা ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। যা সংসারে অশান্তি ডেকে আনছে অনেক ক্ষেত্রে।
আসুন জেনে নেই পর্নোগ্রাফির নেশা থেকে প্রেমিক কে দূরে রাখকেন যেভাবে
প্রেমের কৌশলেই প্রেমিক এর মোবাইল ও ল্যাপটপে নজর রাখুন
বরাবরই তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রাখুন, এতটাই সহজ হয়ে মিশুন, যাতে বাইরে থেকে কিছু শুনে এলে বা বন্ধুদের থেকে কিছু জানলে তা সে জানাতে পারে আপনাদের।
পর্নোগ্রাফি কী, এই নেশা কেন ক্ষতি করতে পারে, কেনই বা পর্নোগ্রাফিতে অংশ নেওয়া সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ— এসব কথা গল্পের ছলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
প্রেমিক এর বন্ধু হয়ে উঠুন
মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময়ও যাতে খুব একটা গোপনীয়তা তারা অবলম্বন করতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।নজরদারি চালান, তবে তাকে অবিশ্বাস করছেন তা বুঝতে দেবেন না। বরং তার পাশের সঙ্গী, বন্ধু ও মেলামেশার পরিসরের সকলকেই কমবেশি চিনে রাখুন।
প্রেমিক এর মুখে খারাপ শব্দ
প্রেমিক এর মুখে হঠাৎই কোনও খারাপ শব্দ শুনলে তা লে কোথা থেকে শিখলো তা জানতে চান, বন্ধুত্বই এই কৌশলের অন্যতম চাবিকাঠি।
পর্ন ছবি বা ভিডিও
নিজেও প্রেমিক এর সামনে পর্ন ছবি বা ভিডিও নিয়ে আগ্রহ দেখানো বা আলোচনার বিষয় থেকে দূরে থাকুন।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.