অনেকে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কোন ধরনের ব্রা মেয়েদের পরা উচিত। আমরা বারবার ই বলছি পাতলা ব্রা মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি মানানসই। সুতি বা লিলেন হলে সবচেয়ে ভাল হয়।
আজকে আপনাদের সামনে পাতলা ব্রা, পাতলা সুতি শাড়ি যাতে ভিতরের দেহ অবয়ব বোঝা যাবে তার একটি কালেকশন করলাম। ব্লাউজের ফিটিং ভালো হওয়া খুব জরুরি তা না হলে ব্লাউজের পুরো সৌন্দর্যটাই ম্লানন হয়ে যেতে পারে।মসলিন, জর্জেট বা সিল্কের ব্লাউজের ভেতরে সুতি লাইনিং দিতে না চাইলে ব্লাউজের কাপড় দিয়েই ডাবল লাইনিং দেওয়া যেতে পারে।
ব্লাউজের নেক লাইনে কাজ থাকলে গলায় গয়না পরা থেকে বিরত থাকুন। এতে ব্লাউজের সৌন্দর্য বজায় থাকবে। এ ক্ষেত্রে কানে ভারী গয়না পরুন। নকশা করা ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে জুয়েলারি নির্বাচন করুন।
মেয়েদের পাতলা ব্লাউজের ভেতর দিয়া ব্রা দেখা যাওয়া কি এখনকার যুগের ফ্যাশন?
ব্লাউজের ভেতর দিয়া ব্রায়ের ফিতে
বনানী সুপার মার্কেটে সব বড় লোকের মেয়ে / বউরা মনে হয় যায়। সেখানে দেখলাম তাদের ব্লাউজের ভেতর দিয়া ব্রায়ের ফিতে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। এতে নিশ্চিতভাবে আপনি আশেপাশের সকলকে আকর্ষিত করছেন।
মহিলাটা বেশি বড়লোকের বউ হবে না। বড়লোকের বউ হলে তো আর বাসে উঠত না। তার জামার পাশ দিয়ে ডান কাঁধে খয়রি রঙের ব্রা’র ফিতা বের হয়ে আছে। তার সেদিকে কোন নজর নেই !
মেয়েরা / মহিলারা পাতলা সুতি শাড়ি-ব্লাউজ পরে। বাইরে গেলে ব্রা পরে ব্লাউজের সাথে মিলিয়ে। শাড়ির আচল সব সময় একদিকে ফেলে রাখে।
ন্যুড ব্রা: সাদা পোশাক বা একটু পাতলা কাপড়ের পোশাকের নিচে পরার জন্য সব সময় একটি ন্যুড ব্রা রাখুন। খুব ভালো হয় হালকা প্যাড দেওয়া ন্যুড ব্রা ব্যবহার করতে পারলে, তাতে বৃন্তের রেখাও ফুটে উঠবে না।
গাঢ় রঙের ব্রা ও প্যান্টি: যে কোনো গাঢ় রঙের পোশাকের ভিতরে পরার জন্য আপনার অবশ্যই চাই ডিপ কালারের ব্রেসিয়ার ও প্যান্টি। কালো পোশাকের নিচে কখনও সাদা ব্রা পরে দেখবেন, স্পষ্ট বোঝা যায় উপর থেকে।
সিমলেস ব্রা: টাইট টপ বা টি শার্ট পরার সবচেয়ে বড়ো মুশকিল হলো, তার ভিতরে অন্তর্বাসের লাইনটা দেখা যায়। বডি হাগিং ড্রেস পরলে দৃশ্যমান হয় প্যান্টির রেখাও। এই পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে সিমলেস ব্রা ও প্যান্টি কিনতেই হবে। সিমলেস প্যান্টি আপনি ট্র্যাকপ্যান্টের সঙ্গেও পরতে পারেন।
প্লাঞ্জ ব্রা: আপনার ডিপ কাট পোশাকের সঙ্গে পরার জন্য প্লাঞ্জ ব্রা একান্ত আবশ্যক। পার্টিওয়্যার বা ডিপ কাট ব্লাউজ়ের সঙ্গে পরার জন্য অবশ্যই এই ধরনের ব্রা রাখুন হাতের কাছে।
যদি ডিট্যাচেবল স্ট্র্যাপসহ প্লাঞ্জ ব্রা কেনেন, তা হলে আরও ভালো হয়। সেক্ষেত্রে আপনার অফ-শোল্ডার পোশাকের সঙ্গেও তা দিব্যি পরতে পারবেন।
অফ শোল্ডার ব্রা: অনেক সময় ব্লাউজের পিঠের দিক থেকে ব্রায়ের স্ট্র্যাপ উঁকি মারে বিশ্রিভাবে, তা আটকানোর সহজতম উপায় হচ্ছে অফ-শোল্ডার ব্রা পরা। একান্ত অসুবিধে হলে সি থ্রু স্ট্র্যাপসমেত ব্রা পরতে পারেন।
স্পোর্টস ব্রা: যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, স্পোর্টস ব্রা তাদের জন্য অপরিহার্য। স্তনের শিথিলতা ঠেকাতে স্পোর্টস ব্রা খুব কাজের।
সাপোর্ট দেওয়া ব্রা কাদের পরা উচিত: বয়স ৪০ পেরোলে সব মহিলারই সাপোর্ট দেওয়া ব্রা পরা উচিত। তাতে স্তনের আকার বেশিদিন ঠিক থাকে। তবে তার আগেও পরা যায়।
প্রতিবার আপনি যখন ব্রা কিনতে যাবেন, তখন পেশাদার ফিটারের সাহায্য ও পরামর্শ অবশ্যই নিন। প্রচুর টাকা খরচ করে আমরা পছন্দের পোশাক কিনি, কিন্তু গাফিলতি করি অন্তর্বাসের ব্যাপারে। শরীরের শেপ একবার নষ্ট হয়ে গেলে নিজেরই আফসোস হবে কিন্তু।
যে কৌতূহল থেকে বাচ্চারা শাড়ি-ব্লাউজ পরতে এতটা ভালোবাসে। তাদের ধারণা শাড়ি পরলেই বুঝি ব্রা পরা যায়। ব্রা কিনতে গিয়ে অনেকেই দোকানে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হন।বেশিরভাগ মহিলাই তাঁদের নিজের সাইজের ব্রা কিনতে পারেন না। কাপ সাইজ কি কেন, তাই অনেকে জানেন না। ফলে অনেকেই মাপের থেকে ছোট কিনে ফেলেন। আর এতে ক্ষতি হয় স্তনের। যেখান থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা থেকে যায়।
স্তনের আকৃতিতেও বদল আসে এটা অনেকেই বিশ্বাস করেন না, বা হয়তো জানেন না। অনেক সময় একটি ছোট একটি বড় হয় বা কোনও রকম শারীরিক সমস্যায় আকার বদলে যায়। ফলে ৩৪ পরতাম বলে সবসময় ৩৪ পরব এমনটা নয়। কাপ সাইজ অনুযায়ী কখনও ৩৬-ও লাগতে পারে।
প্যাডেড ব্রা
আমাদের ধারণা ছিল প্যাডেড ব্রা শুধুমাত্র সুগঠনের জন্য পরা হয়। বা অনেকেই সুন্দর দেখাতে পরেন। এবং যেহেতু এই ধরণের ব্রা শরীরের সঙ্গে চেপে বসে থাকে তাই খুব ক্ষতিকর। কিন্তু সাম্প্রতিক রিসার্চ বলছে একেবারেই তা নয়। এই ব্রা শরীরের জন্য খুবই ভালো। এবং প্যাডেড ব্রা ব্যবহারে এড়ানো যায় ব্রেস্ট ক্যানসারও।
নার্সিং ব্রা
যাঁরা ব্রেস্ট ফিডিং করান এই ব্রা মূলত তাঁদের জন্যই। এছাড়াও যাঁরা সদ্য মা হয়েছেন তাঁদের এই নার্সিং ব্রা ব্যবহার করা আবশ্যক।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.