কিছুতেই যদি আপনার ওজন না কমে তাহলে বুঝতে হবে আপনার জীবন যাত্রার কিছু জিনিস এ পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ আমরা জীবনযাত্রা পরিবর্তনে দশটি এমন উপায় বলে দেবো যা মেনে চললে আপনার ওজন ঝড়ের গতিতে কমে যাবে।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও একটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা অনুসরণ করার মাধ্যমে সঠিক উপায়ে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানো সম্ভব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় শরীরের বাড়তি ওজন কিছুটা কমার পর আর সহজে কমতে চায় না।
সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মনে চললে তা হয়তো আপনাকে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
জেনে নিন কিভাবে এক মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট প্লান করবেন
১. খাবার প্লেটের আকৃতি ছোট করুন
আপনি যে প্লেটে খাবার খান সেটার আকৃতি যদি ছোট হয় তাহলে কম খাওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। কারন ছোট প্লেটে স্বাভাবিক ভাবেই কম খাবার নেয়া যাবে এবং দেখতে অনেক খাবার মনে হবে। খাবার শেষ করলে আপনার মনে হবে আপনি অনেক খেয়েছেন। সেটা অনেকটা মানসিক শান্তিও দেবে।
২. ইলেক্ট্রনিক্স থেকে কিছু সময় দূরে থাকুন
আজকাল সবাই স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, টেলিভিশন, ইন্টারনেট এগুলো নিয়ে অনেক বেশি সময় কাটায়। ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি বা ব্যায়ামের সময় কমে যায়। এগুলো থেকে কিছুটা সময় কমিয়ে শারীরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এমন কাজে মনোযোগ দিলে তা ওজন কমানোর সহায়ক হবে।
৩. ফল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
বেশির ভাগ মিষ্টি ফলে থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং খাদ্যআঁশ বিপাক ক্রিয়ার গতি বাড়াতে সাহায্য করে। কমলা, মাল্টা, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদি ফল কোমরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৪. মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
দেহে যখন কিছু পুষ্টি উপাদানের জন্য ঘাটতি হয় তখন বেশি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই মাল্টিভিটামিন নিয়মিত গ্রহণ করলে সেই ঘাটতি পূরণ হবে। বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমলে ওজন ও কমবে সহজে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
জেনে নিন কিভাবে শসা খেয়ে ওজন কমাবেন – ১ সপ্তাহে ৭ কেজি – Diet Chart সহ
৫. খাবার ভাগ করে বিরতি দিয়ে খান
আপনি যেকোনো বেলায় যতটুকু খাবেন তা নিয়ে ২টা ভাগ করুন। প্রথম ভাগ খাবার পর বেশ কিছুটা সময় বিরতি দিন। কিছুটা সময় অপেক্ষা করার পর যদি দেখেন আপনার ক্ষুধা আছে বা পেট ভরেনি তাহলে অন্য ভাগটা খান। আর যদি ক্ষুধা না থাকে তাহলে খাবেন না। এভাবেই বেশি খাবার অভ্যাসটা কমে আসবে।
৬. খাবারে ঝালের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন
বেশির ভাগ খাবারে লাল মরিচ, কাঁচা মরিচ, গোল মরিচ ইত্যাদি যোগ করে ঝাল বাড়িয়ে দিন। বেশি ঝাল খাবার একদিকে আপনার ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে অল্প খাবারেই পরিতৃপ্তি আনতে সাহায্য করবে।
৭. ঠাণ্ডা রুমে ঘুমান
রাতে ঘুমানোর সময় ঠাণ্ডা রুমে ঘুমান। ঠাণ্ডা রুমে ঘুমালে দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেহের আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা ক্রমাগত কাজ করে যাবে এবং ঘুমের মাঝেও ফ্যাট বার্ন হবে।
জেনে নিন ওজন কমাতে যে ৫টি পানীয় পান করবেন
৮. ওষুধের দিকে নজর দিন
যদি দেখেন ওজন কমানোর জন্য সব চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ওজন কমানো যাচ্ছে না তখন আপনি নজর দিন ওষুধের দিকে। অ্যালার্জির ওষুধ সাধারণ অ্যান্টিহিস্টামিন প্রাকৃতিক হিস্টামিনের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যার প্রভাব ফ্যাট সেল ভাঙার ওপরও পড়তে পারে। এছাড়া জন্মবিরতিকরণ ওষুধগুলো দেহে পানি আটকে রাখে যার ফলে ওজন বাড়তে পারে।
৯. খাবারের পরিমাণ পরিবর্তন করুন
বেশির ভাগ মানুষের মাঝেই রাতে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সেটা পরিবর্তন করতে হবে। রাতে একদম না খেয়ে থাকা যেমন ঠিক নয় তেমন বেশি খাওয়াও ঠিক নয়। সকালের নাস্তা খেতে হবে সবচেয়ে বেশি। এর ফলে যেমন বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে ঠিক তেমনি সারাদিন কর্মক্ষম থাকার শক্তি দেবে। দুপুরে হাল্কা এবং মধ্যম পরিমাণ খান এবং রাতে খান সবচেয়ে কম।
আরও যদি জানতে চান মেদ কমানোর কিছু উপায়
১০. রাতে আগে ঘুমান
যত বেশি রাত জেগে থাকবেন তত বেশি ক্ষুধা লাগবে এবং কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করবে। বেশির ভাগ সময়ই খেতে ইচ্ছে করে অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো। তাই চেষ্টা করুন আগে ঘুমিয়ে পড়তে এবং কাজ থাকলে ঘুম থেকে একটু আগে উঠুন। দেখবেন নিজেকে সতেজ লাগার পাশিপাশি হাতে সময় বেশি পাবেন। সেই সময়টা কাজে লাগাতে শারীরিক ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুন।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
Karo boyos jodi 14 hoy tahole tar koto ojon hooa uchit?