Breast Feed

রোজা রেখে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবেন কিভাবে?

রোজা রেখে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াবেন কিভাবে?

How to breast- feed the child with fasting?

Breast Feed

যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তাঁদের রোজা রাখায় তেমন কোন অসুবিধা নেই যদি তিনি নিজের যত্ন সঠিকভাবে নেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে না চললে তাঁর নিজের তো কষ্ট হবেই, একই সাথে প্রভাব পড়বে সন্তানের স্বাস্থ্যের ওপরেও। অনেক মা-ই এমন সময়ে রোজা রাখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, ফলে ছোট্ট শিশুটিও কষ্ট পায়। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু টিপস যেগুলো মেনে চললে রোজা রেখেও আপনি ও আপনার সন্তান দুজনেই পাবেন উপযুক্ত পুষ্টি ও থাকবে সুস্থ।

১) স্তন্যদানকারী মায়ের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে পানি। একে তো গরমের দিন, প্রচুর পানি এমনিতেই প্রয়োজন দেহের জন্য। অন্যদিকে বুকের দুধ উৎপাদনেও পানির চাহিদা অপরিসীম। ইফতারের পর থেকেই অল্প অল্প করে পানি পান করতে থাকুন। পানি ভালো না লাগলে ফলের রস পান করুন। মনে রাখবেন, অন্য সময়ের চাইতে বেশিই পানি পান করতে হবে আপনাকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত সময়ে।

Clean Glass of Water

দেখে আসতে পারেন – বাচ্চাকে যেভাবে বুকের দুধ খাওয়াবেন

২) রোজা রেখে চা কিংবা কফি পান করবেন না। এগুলো শরীরকে আরও বেশী পানি শূন করে ফেলে। একান্তই যদি পান করতে হয় তাহলে হালকা লিকারের রঙ চা পান করুন।

tea with white cup

mastercard

৩) স্তন্যদানকারী মায়ের ইফতারটাও হবে সকলের চাইতে আলাদা। তিনি ভাজা পোড়া বা মসলাযুক্ত কোন খাবার খাবেন না মোটেও। বরং স্বাভাবিক সময়ে দুপুরে যে খাবারটি খেতেন, সেই খাবারটিই খাবেন লাঞ্চে। অর্থাৎ, পরিমিত ভাত, মাছ/মাংস, ডাল ও সবজি। সাথে ফলের রস ও শরবত। এই একটি কাজ একটু কষ্ট করে করলে নিজের ও সন্তানের স্বাস্থ্যে কোন খারাপ প্রভাব পড়বে না।

hilsha fish with rice

৪) অনেকেই ইফতারের পর রাতের খাবার খান না, অনেকেই আবার আলসেমী করে সেহেরি বাদ দেন। স্তন্যদানকারী মায়ের এই কাজটি করা চলবে না ভুলেও। তাঁকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টায় ৩ বেলা সুষম আহার করতে হবে। তাই ইফতার বা সেহেরি বাদ দেবেন না। পরিমাণে অল্প হলে সুষম আহার গ্রহণ করবেন যেন শরীর পর্যাপ্ত ক্যালোরি পায়।

৫) দৈনিক এক গ্লাস দুধ অবশ্যই পান করতে হবে।

glass of milk

৬) এছাড়াও স্তন্যদানকারী মা অবশ্যই খাবেন এমন কিছু খাবার যা তাঁর বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। যেমন লাউ, কালিজিরা, পান, তাজা ফল ইত্যাদি। তবে টক কোন ফল না খাওয়াই ভালো।

৭) একই সাথে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন। ইবাদত ও সন্তান পালন, এই দুই মিলিয়ে দেখা যায় মায়েদের ঘুমের খুব সমস্যা হয়। কিন্তু এই সময়ে স্তন্যদানকারী মায়ের দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। তাই অবশ্যই ঘুমটা ঘুমাবেন সঠিক ভাবে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!