ফুড পয়জনিং

ফুড পয়জনিং থেকে বাঁচুন

পরিবেশ-পরিস্থিতির কারনে অনেক সময় আমাদের খাবার ঠিকটাক থাকে না। আর খাবারের অনিয়ম মানেই পেটের সমস্যা। ছোটখাট পেটের সমস্যায় দু-একটা ঔষধ খেলেই সেরে যায়। কিন্তু যদি অসুখের নাম ‘ফুড পয়জনিং’ হয় তাহলে এত সহজে মেটে না এমনকি বিষয়টি ৪৮ ঘন্টার বেশি যদি থাকে তাহলে প্রাননাশের সম্ভাবনা পর্যন্ত দেখা যায়। তাই ‘ফুড পয়জনিং’ থেকে সাবধানে থাকুন। তবে কিছু বিষয় এড়িয়ে চললে ফুড পয়জনিং এর সমাধান সহজেই করতে পারবেন।

ফুড পয়জনিং থেকে বাঁচুন

ফুড পয়জনিং

# এই ধরনের সমস্যা হলেই প্রথমেই ঘন্টা ২-৩ জল এবং কোন ধরনের খাবার খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন।

ঘন্টা ২-৩ পর সোডা জাতীয় কিছু পানীয় খান। তবে সাধারনত যেভাবে এই জাতীয় পানীয় খান তার থেকে অন্যভাবে পাণ করতে হবে এই সময়। প্রথমে এই পানীয়তে ১-২টি বরফ দেবেন এবং প্রতিটি সিপে অল্প পরিমানে সোডা খান। একসঙ্গে বেশি মাত্রায় পানীয় খেলে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অনেকক্ষন না খেয়ে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার খিদে পাবে। এইসময় খিদে পেলে হালকা এবং তরল জাতীয় খাদ্য খাবেন। অর্থাৎ স্যুপ, ওট মিল এই জাতীয় হালকা কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্য এইসময়ের জন্য আদর্শ।

যতক্ষন পর্যন্ত সুস্থ বোধ না করছেন, দুগ্ধজাতীয় খাদ্য একদম খাবেন না। দুগ্ধজাতীয় খাদ্য এই সময় খেলে অ্যাসিডিটি হয়ে ‘ফুড পয়জনিং’ সাংঘাতিক রূপ নিতে পারে।

# এইসময়ে কোন ধরনের পেন কিলার বা ঐ জাতীয় ওষুধ একেবারেই খাবেন না। পেন কিলার জাতীয় ওষুধে যে ধরনের ড্রাগ থেকে তা খুবই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শরীরে।

অনেকেই মনে করে থাকেন বাইরের কেনা খাবার থেকে এই অসুখটি হয় এই ধারনা ভ্রান্ত। বাড়িতে রান্না করা খাবারের মধ্যে থেকে ‘ফুড পয়জনিং’ হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা থাকে। তাই কিছু নিয়ম জেনে নিন যাতে বাড়ীর খাবার থেকে কোনভাবেই ‘ফুড পয়জনিং’ না হয়।

‘ফুড পয়জনিং’

#  মাঝেমধ্যেই নিজের রান্নাঘর, বাসনপত্র ভালভাবে পরিস্কার করুন। বাসনের ময়লা থেকে অনেক সময় এই অসুখটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খেতে বসার আগে অবশ্যই সাবান বা লিক্যুইড সোপ দিয়ে ভালভাবে হাত ধুয়ে নেবেন।

# বাজার থেকে সবজি, ফল কিনে আনার পর সেগুলি ভালভাবে ধুয়ে ১-২ঘন্টার মধ্যে সযত্নে প্যাকেটে মুড়ে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেবেন। যত বেশি সময় কাঁচা সবজি বাইরে রাখবেন সবজি খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যায়।

কাঁচা সবজি বা খাবারের থেকে রান্না করা খাবার নির্দিস্ট দূরত্বে রাখুন। কারণ কাঁচা খাবার থেকে জীবানু রান্না করা খাদ্যের সঙ্গে মিশে খাবারটি নষ্ট করে দিতে পারে।

# রান্না করার সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খাবার তৈরি করুন। অতিরিক্ত গরম তাপে রান্না করা বা অত্যধিকবার খাদ্য ফোটানো একদিকে যেমন খাদ্যগুন কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে খাদ্যটি নষ্ট করে দিতে পারে যা থেকে ‘ফুড পয়জনিং’ হওয়ার সবথেকে বেশি সম্ভাবনা থাকে।


Discover more from Health Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Health Bangla
error: Content is protected !!