Gallstone

পিত্তথলিতে পাথর হলে কি করবেন

পিত্তথলির পাথর খুবই পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকে একে গলস্টোনও বলে থাকেন। বেশিরভাগ গলস্টোনই কোলেস্টেরল জমে তৈরি হয়। এ কারণে কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার কম খেলে পিত্তথলির পাথর হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

পিত্তথলিতে পাথর হলে কি করবেন

পিত্তথলির পাথর কোন জটিল রোগ নয়। কিন্তু সময়মতো চিকিৎসা না করালে তা জটিল আকার ধারণ করে। তবে সময়মত রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা করালেই এই রোগের সঠিক নিরাময় সম্ভব।

Gallstone
Gallstone

লক্ষণগুলো জেনে রাখুন

–পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা। এ ব্যথার স্থায়িত্বকাল কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা,
–ব্যথা ধীরে ধীরে পেছনে, ডান কাঁধে এবং মাঝ বরাবর ছড়িয়ে পড়া,
–হালকা জ্বর থাকতে পারে,
–বমি বা বমি ভাব থাকে,
জন্ডিস

যেসব জটিলতা হতে পারে

সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে পিত্তথলির পাথর থেকে বহু জটিলতা হতে পারে। এগুলো হলো-

–পিত্তথলির প্রদাহ,
–পিত্তরস নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতা,
–জন্ডিস,
–অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ,
–পিত্তথলির ক্যান্সার

চিকিৎসার উপায়

রোগীর অবস্থার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতির ভিন্নতা লক্ষণীয়। সাধারণত তীব্র ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীকে প্রথমত ওষুধ দিয়ে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ডাক্তারি ভাষায় এক কনজারভেটিভ চিকিৎসা বলা হয়। রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হলে সার্জারি করে পিত্ত পাথর অপসারণ করা হয়। সার্জারি দুইভাবে করা যায়।

ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটমি
ল্যাপারোস্কোপিক মেশিনের সাহায্যে পেট না কেটে ফুটো করে পাথর অপসারণ করা হয়। রোগী সাধারণত অপরেশনের পরে দ্বিতীয় দিনেই বাড়ি যেতে পারে এবং প্রাত্যহিক কাজ করতে পারে।

উন্মুক্ত কোলেসিস্টেকটমি
রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন এই অপারেশন করা হয়। পেট কেটে পিত্তথলিসহ পাথর বের করে আনা হয়। এই নমুনা হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষার জন্য ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয়। কেননা শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে পিত্তথলির ক্যান্সারেই পাথর হয়ে থাকে।

পিত্তথলির পাথর হলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে সঠিক উপায় নির্ধারণ করে তার চিকিৎসা করা উচিত।


Discover more from Health Bangla

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Health Bangla
error: Content is protected !!