মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুল কাটার সহজ উপায়
মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুল কাটা খুব কঠিন একটি কাজ। মেয়েদের এ নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় অনেক বেশি।
মেয়েদের শরীরে বা মুখে চুল থাকবেনা এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। লোমশ যৌনাঙ্গ বা মুখমণ্ডল অনেক ছেলেরই তাই অপছন্দ। তারা চায় তাদের শয্যাসঙ্গিনী হবে সকল ধরনের চুল থেকে মুক্ত এবং মসৃণ ত্বকের অধিকারী। তাইতো আজকালকার মেয়েরা চেষ্টা করে সবসময়ই ক্লিন আর নরম ত্বকের অধিকারিণী হতে। মেয়েদের এই উটকো ঝামেলার যৌনাঙ্গ অপ্রয়োজনীয় লোম বা চুল থেকে পরিষ্কার রাখার ৫টি সহজ উপায়।
জেনে নিনঃ কিভাবে ম্যাসাজ করলে শরীর হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয়
মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুল কাটার সহজ উপায়
চলুন দেখি উপায়গুলো কি কিঃ
যেভাবে ট্রিমার দিয়ে মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুল কাটবেন
যেভাবে রেজার দিয়ে মেয়েদের যৌনাঙ্গের চুল কাটবেন
১) ট্রিমার দিয়ে
ট্রিমার দিয়ে মেয়েরা খুব সহজেই যৌনাঙ্গের চুল কেটে ফেলতে পারে। সীমার এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জন্য দোকান থেকে নিয়মিতভাবে রেজার কিনে নিয়ে আসার কোন প্রয়োজন পড়ে না। ফ্রী মারে যেহেতু সেফটি ব্লেড লাগানো থাকে এজন্য হঠাৎ করে যৌনাঙ্গ কেটে যাওয়ার ও কোনো ভয় থাকে না।
আরেকটি সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ট্রিমার যেহেতু ত্বকের স্কিন পর্যন্ত পৌঁছায় না এজন্য স্কিণের কোন ক্ষতি হয় না।
আলীএক্সপ্রেস থেকে খুব কম দামের ভিতর ট্রিমার কিনতে পারবেন বাজারে যে ট্রিমার পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই পুরুষের জন্য বানানো। মেয়েদের ট্রিমার এর দাম বাংলাদেশে এত বেশি যে সব দোকানে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ 100 টাকা দিলেই একটি কম্পানি আপনার এই ট্রিমার এনে দিতে পারবে। কোম্পানির ফোন নাম্বার 01912613374। এই ট্রিমার এর মূল্য 1000 থেকে বারোসো টাকার ভিতরে পড়বে।
এটা আরেকটু উন্নত মানের ট্রিমার এই ট্রিমার দিয়ে আপনি বগল সহ যৌনাঙ্গ পিছনে সব খুব সহজেই কেটে ফেলতে পারবেন বিন্দুমাত্র ভয়ের কোন কারণ নেই। কিন্তু এর দাম একটু বেশি প্রায় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ পড়ে যাবে।
এই ট্রিমারের সেইফটি অনেক বেশি বলেই অনেক সময় দেখা যায় চোখ বন্ধ করেই আপনি হাত ঘুরিয়ে আপনার বগল ও যৌনাঙ্গের সব লোম একবারে পরিষ্কার করে ফেলতে পারবেন।
২। টুইজিং/প্লাকিংঃ টুইজিং বা প্লাকিং হল এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে প্রতিটা চুল বা লোম একে একে তুলে আনতে হয়।
যেখানে করা উচিৎঃ মুখমণ্ডল বা যেখানে চুলের ঘনত্ব কম
স্থায়িত্বঃ ৩-৮ সপ্তাহ
৩। শেভিং (Shaving)
রেজার বা ইলেকট্রিক রেজার ব্যবহার করে শেভিং করা যেতে পারে।
যেখানে করা উচিৎঃ শেভিং যেকোনো জায়গায় করা যেতে পারে
স্থায়িত্বঃ ১-৩ দিন
মেয়েদের জন্য কিন্তু জিলেটের আলাদা শেভিং কিট রয়েছে। এর দাম একটু বেশি। আপনি বাজার থেকে ২০ বা ৪০ টাকা দিয়ে রেজার কিনে আপনার লোম কেটে ফেলতে পারেন। শেভিং এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল যে কোন সময় আপনার চামড়া কেটে যেতে পারে এজন্য মেয়েদের সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো ট্রিমার ব্যবহার করা।
৪। ওয়াক্সিং (Waxing)
একজন কসমেটোলোজিসট গলিত মোম ত্বকের উপর ছড়িয়ে দিয়ে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। মোম শুকিয়ে গেলে কাপড় উঠিয়ে ফেলেন। সাথে উঠে আসে লোম বা চুল।
যেখানে করা উচিৎঃ যেকোনো জায়গায় করা যেতে পারে
স্থায়িত্বঃ ৩-৬ সপ্তাহ
৫। লেজার বা আলোক রশ্মি
একজন টেকনিসিয়ান উজ্জ্বল আলোকরশ্মি দিয়ে চুলের গোরা ধ্বংস করে দেন। এটা সবচেয়ে কার্যকর প্রক্রিয়া।
যেখানে করা উচিৎঃ যেকোনো জায়গায় করা যেতে পারে
স্থায়িত্বঃ সাধারণত ৬-১২ বার এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেই চুলের কবল থেকে সম্পূর্ণরুপে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
৬। ইলেকট্রলাইসিস
একজন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এক্সপার্ট একটি সুক্ষ নিডল প্রতিটি চুলের ফলিকলে ঢুকিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত করে গোরা নষ্ট করে দেন।
যেখানে করা উচিৎঃ অনেক দীর্ঘ এই প্রক্রিয়া কম চুল বিশিষ্ট এলাকায় করা ভালো। তাতে কম সময়েই কর্ম সম্পাদন হয়।
স্থায়িত্বঃ পুরোপুরি চুল না চলে যাওয়া পর্যন্ত ১-২ সপ্তাহ পর পরই ইলেকট্রলাইসিস (Electrolysis) করতে হয়।
Inspired From: