সঠিকভাবে পায়ের যত্ন নিলে পায়ের দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলা সম্ভব। নানা কারণে পায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। তবে পা অপরিষ্কার থাকলে ছত্রাকের আক্রমণ ছাড়াও সেই পায়ে গন্ধ হতে পারে। পায়ে নানা ধরনের জীবাণু থাকে, তাই তা পরিষ্কার রাখা দরকার। পায়ের ঘাম আটকে সেখান থেকেও দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।

শীত এলেই হালকা চপ্পলের চেয়ে কেডস বা জুতাকেই প্রাধান্য দেয় ছেলেরা। কিন্তু বিপত্তিটা বাধে জুতা খোলার পর। অনেকের পায়েই দুর্গন্ধ হয়। নিজের সঙ্গে সঙ্গে যে গন্ধে আশপাশের সবাই বিরক্ত হয়ে পড়ে। সবার জন্য যা হয় বিব্রতকর অবস্থা। আর তাই জুতা বা মোজার চেয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকে স্যান্ডেল পরেন।
পায়ের দুর্গন্ধ সমাধান
পায়ের যত্নে তাই একটু সচেতন হলে দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলা সম্ভব। তা ছাড়া ভালোভাবে যত্ন নিলে পা থাকবে সতেজ। রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন জানান, শীতে ছেলেদের পায়ে একটু বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। কারণ এই সময় অনেকে পায়ে বেশি পানি লাগাতে চান না। তা ছাড়া আবহাওয়ার কারণে এই সময় পা অপরিষ্কার থাকলে ত্বক ফেটে যায়। ঘামের সঙ্গে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।

বাইরে বেরোলে ছেলেদের পায়ে বেশি ময়লা জমে। যা থেকে সহজে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। নখ পরিষ্কার না করলে সেখানে ময়লা জমে পায়ে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে এবং নখ সহজে ভেঙে যেতে পারে। পায়ের আঙুলের যত্নেও তাই সচেতন থাকতে হবে। এ জন্য মাসে অন্তত দুবার পেডিকিওর করানো উচিত। এতে নানা ধরনের ফুট ম্যাসাজ করানো হয়। নখ কাটা, আঙুল পরিষ্কার, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদি স্থানে জলপাই তেল ও লোশন ব্যবহার করা হয়। পেডিকিওরে মরা চামড়া সহজে তুলে ফেলা হয়। পায়ের ত্বক শুষ্ক হলে জলপাই তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা উচিত বলে জানান তানজিমা শারমিন। পায়ে বাতাস চলাচল করতে না পারলে সেখানে ঘেমে গন্ধ হয়। তাই জুতা কেনার সময়ে এদিকে লক্ষ রাখা উচিত।
ঘাম প্রতিরোধ করতে
যাঁদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাঁরা মোজা ব্যবহারে একটু সচেতন থাকুন। বাতাস চলাচল করে এমন নরম মোজা ব্যবহার ভালো। মোজা নিয়মিত পরিষ্কার করে শুকাতে দিন। জুতা রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া খোলামেলা স্থানে জুতা রাখুন। বেশি পুরোনো স্যান্ডেল না পরাই ভালো। বাজারে ঘাম প্রতিরোধক লোশন পাওয়া যায়, এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.