চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে । প্রতিদিন ৫০-১০০টা চুল পড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এর বেশি হলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কে চান যে তার মাথাটা চুলবিহীন হয়ে যাক? আসলে অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়ার নানা কারণ থাকে। যেমন- প্রতিদিনের ব্যবহৃত কড়া রাসায়নিক পদার্থের শ্যাম্পু চুল নষ্ট করে দেয়। অন্যান্য চুলের প্রসাধনও দায়ী হতে পারে। এগুলো মেরামতের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে থাকে।
এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কীভাবে চুল পড়া রোধ করা যায়। এ কাজ কিন্তু মোটেও খরচবহুল নয়। তাই প্রতিদিনের কাজ হিসাবে ঠিক করে নিন।
চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে
১. অবশ্যই নিয়মিতভাবে চুলে তেল দিতে হবে। নইলে সপ্তাহে অন্তত একবার তো দেবেনই।
চুলের জন্য নারকেল তেলই সেরা। তেল চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে। রুক্ষ হয়ে পড়ে যেতে বাধা দেয়। এই তেল চুলে প্রোটিন জোগায়। ফলে চুল সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। চুল হয় ঘন ও স্বাস্থ্যবান। তেলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদানও থাকে। ফলে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে চুলকে।

২. সকল প্রকার রাসায়নিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পুকে বাদ দিতে হবে। বরং অর্গানিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বিটরুট, তেঁতুলের বিচি বা আমলকির নির্যাস থেকে প্রস্তুতকৃত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
৩. কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে কেবল চুলের চকচকে ভাবই বাড়ে না, এতে চুলও শক্তিশালী হয়। আরো বাড়ে মসৃণতা। সব কন্ডিশনার হয়তো আপনার চুলের জন্য ভালো হবে না। তাই যে খাপ খায়, সেটা বেছে নিন। এর জন্য হয়তো প্রাথমিক অবস্থায় কয়েকটা পরখ করে নিতে হবে। তবে এমন কন্ডিশনার নেবেন যাতে বিটরুটের নির্যাস, কেরাটিন প্রোটিন আর প্রো ভিটামিন বি৫ রয়েছে।
৪. চুলের ময়লা ধুতে কেবলমাত্র হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। সব সময় ব্যবহার করবেন না। কারণ গরম পানি চুল ও মাথার জন্য ক্ষতিকর। গরম পানিতে মাথায় খুশকি হয়। আর খুশকি হলে চুল পড়া সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
৫. খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খেতে হবে। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধ করে।
৬. প্রয়োজনে অ্যালো ভেরা, আমলকি আর নিম পাইডারে বানানো প্যাক চুলে লাগিয়ে চুল পড়া রোধ করতে পারেন। সপ্তাহে একদিন চুলে ব্যবহার করুন এবং হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলে পুষ্টি জোগায় আর চুল পড়া রোধ করে।
৭. হেয়ার ড্রায়ারকে ‘না’ বলুন। চুলে যেকোনো ধরনের তাপ দারুণ ক্ষতি করে। যদি করতেই হয়, তবে তার আগে তাপ প্রতিরোধী স্প্রে বা ক্রিম মেখে নিন চুলে।