Pregnant

শারীরিক মিলনের পর কিভাবে বাচ্চা হয়?

অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শুধুমাত্র শারীরিক মিলন করলেই বাচ্চা হয়ে যাবে কিনা। বিষয়টি সহজ নয় বলেই, আজকের লেখা শারীরিক মিলনের পর কিভাবে বাচ্চা হয়?

গর্ভধারণের প্রক্রিয়া

নারী-পুরুষের শারীরিক মিলনের ফলে গর্ভধারণের প্রক্রিয়া বেশ জটিল। ডিম্বাশয়ের মধ্যে শুক্রাণুর গতিবিধির ওপর ভ্রূণ সৃষ্টির সম্ভাবনা নির্ভর করে। সেই পরিবেশে শুক্রাণুর পক্ষেও অস্তিত্বের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া কঠিন। শুক্রাণুগুলোকে যেন ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নিতে হয়। এত ভিড় পেছনে ফেলে বেরিয়ে যেতে চায় সেগুলো। অবশেষে সেটা সম্ভব হয়। শুক্রাণুর জন্য যা ২০ সেন্টিমিটার, মানুষের কাছে তা প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের সমান।

সেখানে আসলে কী ঘটে? যোনির মধ্যেই অনেক শুক্রাণুর মৃত্যু ঘটে। সেখানকার এসিড ভরা পরিবেশ এমনিতেই প্রতিকূল। তার ওপর নারীর প্রতিরোধী কোষ ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে না হলেও শুক্রাণু মেরে ফেলে। তবে সৌভাগ্যবশত তরল হিসেবে বীর্য মজবুত ও আঠালো। শুক্রাণু যখন বেঁচে থাকার সংগ্রামে ব্যস্ত থাকে, তখন ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে ধীরে ধীরে ডিম্বাণু এগিয়ে আসে।

গর্ভধারণ করার সেরা সময় কখন?

গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হল ডিম্বস্ফোটনের সময়কালে, যে সময়কালে ডিম্বাশয় থেকে একটি পরিপক্ক ডিম মুক্ত হয়ে যায়। যদিও শুক্রাণু সেক্স এর পর 48 থেকে 72 ঘন্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, পরিপক্ক ডিম্বাণু ডিম্বস্ফোটনের পর মাত্র 12 থেকে 24 ঘন্টার জন্যই বাঁচতে পারে। এর মানে হল যে মহিলা ডিম্বাণুটি মুক্তি পাওয়ার পর মাত্র 12-24 ঘণ্টার মধ্যেই নিষিক্ত হতে পারে। অতএব, আপনার গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য, ডিম্বস্ফোটনের মোটামুটি 2-3 দিন আগে যৌন সঙ্গম করা ভাল। এটি নিশ্চিত করে যে, ডিমটি অবশেষে যখন মুক্ত হয় তখন সেটিকে নিষিক্ত করার জন্য ফ্যালোপিয়ান টিউবে যথেষ্ট পরিমাণে শুক্রাণু থাকে।

আপনার ডিম্বস্ফোটন কখন ঘটবে তার পূর্বাভাস পেলে, আপনার শিশু গর্ভে ধারণ করাতে অত্যন্ত সাহায্য হতে পারে।

কোনও মহিলার গড় 28-দিনের মাসিক চক্রের মধ্যে থাকলে, ডিম্বস্ফোটন শুধুমাত্র একবার ঘটে এবং সাধারণত পরবর্তী চক্রের শুরু হওয়ার প্রায় 14 দিন আগে ঘটে। যাইহোক, 28 দিনের মাসিক চক্রের মহিলারা সংখ্যালঘুদের মধ্যে পড়েন, কারণ বেশিরভাগ মহিলাদের 24 থেকে 35 দিনের মধ্যে মাসিক চক্র থাকে। যেহেতু চক্রের শেষ দিনের বা যে দিন আপনার পিরিয়ড হয় তার 14 দিন আগে ডিম্বস্ফোটন ঘটে, এর মানে হল যে 24 দিনের মাসিক চক্রের মহিলার জন্য 10তম দিনে বা 35 দিনের মাসিক চক্রের কোন মহিলার 21তম দিনে এটি হতে পারে।

নিয়মিত মাসিক চক্র যুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে ডিম্বস্ফোটনের সময়ের পূর্বাভাস পেতে, ডিম্বস্ফোটন ক্যালকুলেটরের মতো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন। উপরন্তু, আপনার ঋতু পর্যায় জুড়ে আপনার হরমোন মাত্রা পরীক্ষা করে যে ডিম্বস্ফোটন পূর্বাভাস কিট, সেটি আপনার কোন দিন ডিম্বস্ফোটন হবে তা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবে।

 

অনিয়মিত পিরিয়ড যুক্ত নারীদের ক্ষেত্রে, কখন ডিম্বস্ফোটন ঘটবে তার পূর্বাভাস পাওয়া একটু কঠিন হতে পারে।

ভিডিও দেখুন

মিলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে যোনি, জরায়ু ও গলদেশের মধ্যে এক নির্দিষ্ট ছন্দ সৃষ্টি হয়। এভাবে জরায়ু শুক্রাণু শুষে নিতে পারে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় সেটা ঘটে। সৌভাগ্যবশত আউটবোর্ড মোটর কাজ করছে। নির্গত পদার্থ আরো পাতলা হয়ে যাবার ফলে শুক্রাণু আরো চটপটে হয়ে ওঠে। টার্বো থ্রিডি প্রপেলার ও মাথা নাড়ার বিশেষ কায়দার ওপর নির্ভর করা যেতে পারে। জরায়ুর প্রাচীরকে ভিত্তি করে শুক্রাণু নিজস্ব গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। যৌথ উদ্যোগে সেই কাজে আরো গতি আসে।

বীর্য গাড় ও শুক্রাণু বৃদ্ধির উপায় জেনে নিন – ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত

এবার ডান দিকে না বামে যেতে হবে? সঠিক ফ্যালোপিয়ান টিউব চেনার কৌশল যে কী, তা আজও জানা যায়নি। ডানে-বামে-ডানে খোঁজ চালাতে হয়। ফ্যালোপিয়ান টিউবের প্রাচীরে সূক্ষ্ম রোম রয়েছে, যা ডিম বহন করে। সেটির তরল স্রোত শুক্রাণুর দিকে ধেয়ে যায়। গতিপথ সব সময়ে স্রোতের দিকে মুখ করে থাকে। অনেক শুক্রাণু ফ্যালোপিয়ান টিউবের খাঁজে হারিয়ে যায়। তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর ঠিক আগে ডিম দিশা পেতে সাহায্য করে।

দ্রুত বীর্যপাত ঠেকাতে পেনিস এর Exercise – Kegel Exercise

সেটি প্রস্টাগ্ল্যানডিন নিঃসরণ করে। শুক্রাণু সেই রাসায়নিক ট্র্যাক বা গতিপথ অনুসরণ করে। এবার সেটা দেখা যাচ্ছে। তাই এনজাইম প্রস্তুত রাখতে হবে। ডিমের খোসার ওপর শর্করার অণুর এক স্তর রয়েছে। সেখানেই শুক্রাণু সংযুক্ত হয়। সেই জাদুময় মুহূর্ত, যখন প্রথম শুক্রাণু প্রবেশ করে, তখন তার লেজ খসে যায়। হুবহু সেই মুহূর্তে ডিম্বাণু তার ‘ডকিং’ আবরণ বন্ধ করে দেয়। তখন বাকি শুক্রাণু পিছলে বেরিয়ে যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Health Bangla
Exit mobile version