আমাদের দেশে মুখে কেউ স্বীকার না করলেও আজকাল অনেক বাংলাদেশী নারীই কিন্তু করিয়ে থাকেন ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট। এছাড়া পাশের দেশ ভারত সহ অন্যান্য উন্নট দেশগুলতে আসলে এটা নিয়ে খুব বেশী রাখঢাক এখন নেই। খুবই সাধারণ অপারেশনের মাধ্যমে স্তনে সিলিকন ইমপ্ল্যান্ট ভরে স্তনকে আকারে বৃদ্ধি ও সুগঠিত করে দেয়াটাই হচ্ছে সোজা ভাষায় ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট। এর উদ্দেশ্য একটাই, সৌন্দর্য বৃদ্ধি।
ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট আসলে কি জিনিস?
সিলিকনে তৈরি বেলুনের মাঝে সিলিকন ভরে তৈরি করা হয় স্তনে ভরার ইমপ্ল্যান্ট গুলো। নানান আকারের ইমপ্ল্যান্ট তৈরি হয়, যার যা প্রয়োজন। এক পর্যায়ে মনে করা হচ্ছিল যে সিলিকনের কারণে হতে পারে স্তন ক্যান্সার। তখন সিলিকন বেলুনের মাঝে সাধারণ স্যালাইন ওয়াটার ভরেও ইমপ্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে অনেক কিছু মিলিয়ে এই সিলিকন ইমপ্ল্যান্টই গ্রাহকদের বেশী পছন্দ। যদিও সিলিকন থেকে ক্যান্সার হবেই না, এমনটা জোর দিয়ে বলা যায় না। অনেকে ইমপ্লান্ট না করে শরীরের অন্য অংশের মেদ ব্রেস্টে নিয়ে আসেন। একে বলে অটোলোগাস ফ্যাট ট্রান্সফার।
স্তনের নিচের ভাঁজে কেটে এই ইমপ্ল্যান্টগুলো বসিয়ে দেয়া হয়। ভাঁজের মাঝেই অপারেশনের দাগ হারিয়ে যায়। অপারেশনের পর মোটামুটি ২০/২৫ বছর এই ইমপ্ল্যান্টগুলো ঠিক থাকে। তবে মোটামুটি ১০ বছর পেরিয়ে গেলেই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাঝে মাঝেই ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়া ভালো যে ইমপ্ল্যান্ট কোথাও লিক করছে কিনা। লিক করলে অবিলম্বে বদলে নিতে হবে, দেরি করা চলবে না।
ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট: স্তনের আকার বাড়ানো কতটা নিরাপদ?
- এই অপারেশনের পর সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশী থাকে। তাই খুব সাবধানে থাকতে হয় প্রথম ৭ দিন।
- যদিও ছোট অপারেশনের, কিন্তু ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত খুব সাবধানে জীবন যাপন করতে হয়।
- ইমপ্ল্যান্ট করার সময় মিল্ক ডাকট কাটা পড়ে যেতে পারে যদি দক্ষ সার্জন না হন। সেক্ষেত্রে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে সমস্যা হবে। অনেক ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট করলে নিপলে অদ্ভুত পরিবর্তন আসে। যা পরে ব্রেস্টফিডিংয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। অন্য কারণেও স্তন্যদানে সমস্যা হতে পারে।
- বড় ইমপ্ল্যান্ট হলে সময়ের সাথে সাথে শেপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে ঝুলে পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
পড়তে পারেন মেয়েদের স্তন সুন্দর করার নিয়ম
যদি আপনার ব্রেস্টের আকার খুব ছোট হয় তবে একবারেই অনেক বড় ব্রেস্টের স্বপ্ন দেখবেন না। যদি স্বাভাবিক কাপ সাইজ স্মল এ হয়, তবে এক লাফে ডিডি কাপ সাইজ করা যায় না। কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে বাড়াতে ইমপ্লান্টের মাধ্যমে বাড়াতে হবে।
বলিউডের অনেক নায়িকাই অস্ত্রোপচারের সাহায্য স্তনের আকার বড় করেছেন। আয়েশা টাকিয়া থেকে সুস্মিতা সেন, অনেকেই কিন্তু রয়েছেন এই তালিকায়। দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।
স্তনের আকার বড় করতে অপারেশন করিয়েছেন যেসব বলিউড নায়িকারা
সুস্মিতা সেন
মাত্র ২০ বছর বয়সে ব্রেস্ট ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন।
আয়েশা টাকিয়া
সে সময়ের ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিলেন আয়েশা ৷ নিজে কখনও স্বীকার না করলেও অস্ত্রোপচারের আগের আর পরের আয়েশাকে দেখে সহজেই বোঝা যায় তাঁর লুকসের পরিবর্তন।
পড়তে পারেন মেয়েদের স্তন ছোট হয়ে যায় যে কারণে
আয়েশা টাকিয়া এর হট লুক এর ভিডিও দেখুন
শিল্পা শেট্টি
শোনা যায়, গোটা শরীরে প্রচুর সার্জারি করিয়েছেন শিল্পা ৷ এরমধ্যে রয়েছে স্তনের আকার বাড়ানোর অস্ত্রোপচারও।
শ্রীদেবী
আকার বাড়ানোর জন্য স্তনের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন শ্রীদেবীও।
পড়তে পারেন যে ব্যায়াম করে ঝুলে পড়া স্তন ঠিক করবেন
মল্লিকা সেরওয়াত
নাক, ঠোঁটের সঙ্গে সঙ্গে বুকেরও অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন মল্লিকা।
কঙ্গনা রানাওয়াত
একসময় ‘নো ব্রেস্ট’ টিটকিরি শুনতে হত কঙ্গনাকে। এরপরেই অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
বিপাশা বসু
২০০৪ সালে স্তনের আকার বড় করতে এই সার্জারি করিয়েছিলেন বিপাশা বসুও।
পড়তে পারেন যে ৬টি খারাপ অভ্যাসের জন্য স্তন এর শেপ নস্ট হয়ে যায়
রাখি সাওয়ান্ত
বুকে সিলিকন সার্জারি করিয়েছেন বলিউডের কনট্রোভার্সি ক্যুইন রাখি সাওয়ান্ত।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.