গর্ভাবস্থায় সহবাস

স্বামীকে সহবাসের আগে যে ১০টি কাজ করতেই হবে – BD Health Tips

সংসার গড়ে ওঠে নারী পুরুষের ভালোবাসাকে উপজীব্য করে। স্বামী হওয়া খুব সহজ, তিনবার কবুল বললেই তা হওয়া যায়। কিন্তু আদর্শ স্বামী হওয়া অনেক কঠিন। সবার মধ্যে আদর্শ স্বামী হওয়ার সে প্রবণতা বা ইচ্ছাও লক্ষ্য করা যায় না।

সম্পূর্ণরুপে বিবস্ত্র মূলত লজ্জাশীলতার পরিচয়। শরীয়তে তা হারাম নয়। ঘর বা রুম বন্ধ থাকলে এবং সেখানে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ না থাকলে পর্দার দরকার নাই। স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের লেবাস বা পোশাক। উভয়ে উভয়ের সব কিছু দেখতে পারে। মহান আল্লাহ বলেছেন, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।

গর্ভাবস্থায় সহবাস

কিন্তু সংসার কোন ছেলেখেলা নয়। এখানে একজন স্বামীকে অবশ্যই ছোট বড় সব বিষয়গুলোর দিকেই নজর রাখতে হবে। ধীরে ধীরে চেষ্টার পরেই হওয়া যায় আদর্শ স্বামী, প্রকৃত বন্ধু। মনে রাখবেন প্রেম শুধু শরীরেই বাস করে না। প্রেমের ক্ষেত্রে মন শরীর দুটোই লাগে। মন থেকে আপনার স্ত্রীকে ভালবাসুন। তার কানের কাছে মুখ নিয়ে বারবার ভালোবাসার কথাগুলো বলুন। তার প্রশংসা করুন। তাকে সময় দিন। তাকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যান। তার সাথে গল্প করুন।

মাঝে মাঝে তার জন্য উপহার নিয়ে আসুন। মনে রাখবেন রোমান্সকে কখনই শুধু বেডরুমের মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিন, আর আপনার সেই ভালোবাসার সবটুকু জুড়ে থাকুক আপনার স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রীর মিলনের আগে স্বামীর কিছু কর্তব্য থাকে যা আপনার সহবাসকে আরো তৃপ্তি দিতে পারে। সেরকমই ১০ টি বিষয় তুলে ধরা হলো-

স্বামীকে সহবাসের আগে যে ১০টি কাজ করতেই হবে

১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।

২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।

৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।

৪। নারী ধীরে ধীরে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।

৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।

৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।

৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।

৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।

৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।

১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Health Bangla
Exit mobile version