ক্যান্সার মারাত্মক এক ঘাতক ব্যাধি। এক সময় ভাবা হতো ক্যান্সার হলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় বিজ্ঞান এখন বহুলাংশে ক্যান্সার নিরাময় ও প্রতিরোধ করতে পারে। মনে রাখতে হবে ক্যান্সার চিকিত্সা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য নয়। রোগীর জীবনে নেমে আসে করুণ পরিণতি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি বাড়ানো যায়, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যদি ইম্যিউনিটি শক্তিশালী হয় তাহলে অনেক ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। আর তাই এখানে তুলে ধরা হলো ৯টি ক্যান্সার ফাইটিং ফুড সম্পর্কে।
Eat 9 Foods to Fight Cancer – ক্যান্সার থেকে বাচতে খান এই নয়টি খাবার
এগুলো হচ্ছে-রসুন, পিয়াঁজ, আদা, ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবল যেমন- ব্রকলি, বাঁধা কপি, ফুলকপি, মাশরুম, পমিগ্রানেট বা বেদানা, হলুদ, গ্রিন টি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি।
রসুন পাকস্থলী ও কোলো-রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ তথ্য দিয়েছেন দ্য এসেনশিয়াল ক্যান্সার টিট্রমেন্ট নিউট্রেশন গাইড বইয়ের অথার ডায়েটিশিয়ান জিন লামন্টিয়া। এই পুষ্টিবিদের মতে পিঁয়াজেরও রয়েছে ক্যান্সার ফাইটিং উপাদান যা টিউমারের গ্রোথ প্রসেসকে বিলম্বিত করে। ক্যান্সার কোষ সাধারণত দ্রুত বাড়ে এবং অন্যান্য সাধারণ কোষের চেয়ে বেশি জীবন পায়। ৬-জিনজারোল নামের আদার ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ক্যান্সার কোষের বাড়ার গতিকে কমিয়ে দেয়। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
ফুলকপি ও ব্রকলির অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক পরিচিতি থাকলেও এসব অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ। এসব খাবারে বিপুল পরিমাণ ক্যান্সার ফাইটিং ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস আছে। মাশরুমে ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান ছাড়াও রয়েছে পুষ্টি ও ভেষজগুণ। বেদানায় ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিইনফ্লামেটরি এন্টিঅক্সিডেন্ট (Anti Inflammatory Anti-oxidant)। হলুদ ক্যান্সার কোষকে শরীরের ভাল কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয় এবং ক্যান্সার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে। গ্রিন টি ও কালো চকলেটেও রয়েছে এন্টি ক্যান্সার প্রপার্টি। ডার্ক চকলেটের পলিফেনলস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। তবে অধিক চকলেট খাওয়া যাবে না। দিনে কয়েকটি কিউব বা স্কয়ার ডার্ক চকলেট (Dark Chocolate) আহারই যথেষ্ট।
Discover more from Health Bangla
Subscribe to get the latest posts sent to your email.
Thank you doctor