অণ্ডকোষের ক্যান্সার

পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার কারণ

যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে, ব্রিটেনে এখন প্রতিবছর পুরুষাঙ্গ ক্যান্সার আক্রান্তের ঘটনা ঘটছে প্রায় ৫০০। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরতে পারলে এ রোগ সারিয়ে তোলার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। অর্কিড এবং ব্রিটেনের পুরুষাঙ্গ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তারা এর ঝুঁকি এড়াতে সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শও দিয়েছে।

 

পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার

সম্প্রতি পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২১ শতাংশ বেড়েছে। একারণে ব্রিটেনের পুরুষদের তারা নিয়মিত পরীক্ষা করানো এবং এর উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রোস্টেট এবং অণ্ডকোষের ক্যান্সারের তুলনায় পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারকে বিরলই বলা চলে। কিন্তু পুরুষদের ক্যান্সার নিয়ে কাজ করে এমন দাতব্য প্রতিষ্ঠান অর্কিড দাবি করেছে, এ রোগ আর বিরল নয়। এ ব্যাপারে অর্কিডের প্রধান নির্বাহী রেবেকা পোর্টা বলেন, ‘ভয়ঙ্কর এই ক্যান্সারটিকে খুব কমই গুরুত্ব দেয়া হতো। কিন্তু এই গবেষণা দেখিয়েছে যে, এই ক্যান্সারের হার বাড়ছে। অন্যান্য ক্যান্সারের মতো এটি সচরাচর হয় না। তাছাড়াও পুরুষেরা আক্রান্ত হলে এটা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে খুব বিব্রত বোধ করে। ফলে এটা আক্রান্তকে বিচ্ছিন্ন ও বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। এ কারণেই এ ব্যাপারে পুরুষদের সচেতন হওয়া জরুরি। এর লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সম্পর্কে জানা উচিৎ। চিন্তিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আশঙ্কা অনেকখানি কেটে যায়।’

 

অর্কিড জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকরা এটিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হতে পারেন অথবা যৌনরোগ বা ত্বকের সমস্যা বলে ভুল করতে পারেন। আর এই ভুলের কারণেই অনেক সময় সঠিক চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

গবেষক দলের একজন আসিফ মুনির এ ব্যাপারে বলেন, ‘প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করতে পারলে পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার সারিয়ে তোলা যায়। এর অপারেশন এখন সম্ভব। আর পুরুষাঙ্গ একদম অক্ষত রেখেই ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব।’

mastercard

তবে এ ক্যান্সারের সঠিক কারণ এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তারপরও সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ নির্দেশ করেছেন গবেষকরা।

পুরুষাঙ্গে ক্যান্সারের সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি): যৌনাঙ্গের আঁচিল/জড়ুলে এইচপিভি আক্রান্ত হলে পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা ছয় গুন বাড়ে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলশের পুরুষদের মধ্যে ১৯৭০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময় এ ধরনের আঁচিল হওয়ার হার বাড়ছে। দেখা গেছে, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময় এ ধরনের আঁচিল হওয়ার হার বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

ধূমপান: ধূমপায়ী পুরুষদের এই ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

খৎনা না করা: দেখা গেছে, জন্মের পরপরই যেসব শিশুর খৎনা (ত্বকচ্ছেদ) করা হয় তাদের পুরুষাঙ্গ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। খৎনা না করা থাকলে ভাঁজ হয়ে থাকা ত্বকে জীবাণু জমে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

 

পুরুষাঙ্গে ক্যান্সারের উপসর্গ

  • পুরুষাঙ্গের গায়ে ব্যথাহীন পিণ্ড বা ঘা যা সারে না
  • পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়া
  • সামনের ত্বকের ঠিক পেছনে লাল ফুসকুড়ি
  • পুরুষাঙ্গের রঙ ধূসর হয়ে যাওয়া
  • সামনের ত্বক টেনে পেছনে আনতে কষ্ট হওয়া
  • সামনে উন্মুক্ত অংশ থেকে অস্বাভাবিক গন্ধ বের হওয়া
  • ত্বকের রঙ অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া
  • কুঁচকিতে রক্তরসের মতো ফেনা জমা হওয়া

0 thoughts on “পুরুষাঙ্গে ক্যান্সার কারণ”

  1. আব্দুল্লাহ

    আমার পুরুষাঙ্গ এ হটাত করে কিছু ফুস্কুড়ি দেখা দেয় সেগুলা ধিরে ধিরে বড় হচ্ছে র পুরুষাঙ্গ চুলকাচ্ছে। এতে আমার করনীয় কি প্লিজ জানাবেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!