যমজ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো একটা ঝামেলার ব্যাপার। বুকের দুধ খাওয়া শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যমজ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন যেভাবে জেনে নিন।
একটি নবজাতক সন্তানকে নিয়েই বাবা-মা’কে হিমশিম খেতে হয় যদিও এই ঝক্কির সাথে রয়েছে আনন্দের মিশেল। আর যদি এক্ষেত্রে সন্তান হয় যমজ তাতে তো কথাই নেই। আনন্দ যেমন বহুগুণে বেড়ে যায় ঠিক তেমনি কাজের মাত্রাটাও বেড়ে যায়্য বেশ কয়েক গুণ। আর মায়ের তো কথাই নেই। যমজ শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা’কে অনেক রকমের ঝামেলা পোহাতে হয়।
যমজ শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াবেন যেভাবে
১। যমজ শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ঝক্কি সামাল দিতে গিয়ে মায়েদের যদি মনে হয় যে তাঁদের আরো কয়েক জোড়া হাত প্রয়োজন ছিল তবে অবাক হবেন না। আসলেই শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে মা’কে অনেক রকম ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তাই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন পজিশন বেছে নিন যাতে করে আপনার সন্তান এবং আপনি দুজনেই স্বাচ্ছন্দ্যব্বোধ করতে পারেন। দুই শিশুর জন দুই রকম পজিশনও এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
২। আপনার নিজের মতো এমন রুটিন বেছে নিন যাতে করে দুই সন্তানই ঠিক সময়মতো বুকের দুধ খেতে পারে। যেভাবে আপনার সুবিধা হয়- একসাথে দুইজনকে বুকের দুধ খাওয়ানো কিংবা সময়টাকে আলাদা করে খাওয়ানোর রুটিন করে নিন। তবে এই রুটিন কখনোই ভাঙ্গার চেষ্টা করলেই হয়তো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৩। যদি পর্যাপ্ত দুধের যোগান থাকে তবে কোন স্তন থেকে কতবার বুকের দুধ খাওয়ানো হয়েছে বা কাকে কোন স্তন থেকে খাওয়ানো হয়েছে তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। তবে যদি দুধের যোগানে সমস্যা দেখা দেয় তবে যাতে দুই সন্তানই সমান পরিমাণে বুকের দুধ পেতে পারে সেক্ষেত্রে নজর দিতে হবে। তা না হলে আপনার দুই সন্তানের স্বাস্থ্য সমানভাবে বেড়ে উঠবে না কোনভাবেই।
৪। মনে রাখবেন প্রত্যেক শিশুই আলাদা এবং তাঁদের খাবার খাওয়ার ধরন, চাহিদা এবং অন্যান্য বিষয়ও ভিন্ন হতে পারে। তাই দুইজন শিশুকে ভিন্ন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করাই তাদের জন্য কল্যাণকর হবে।
৫। নিজেকে এক সন্তানধারী মায়েদের সাথে তুলনা করলে অবশ্যই ভুল করবেন। কারন স্বাভাবিকভাবেই এক সন্তানের চেয়ে দুই সন্তানের কাজ এবং যত্ন সবকিছুই দ্বিগুন হয়ে যায়। এতে বিরক্ত না হয়ে ধৈর্য ধরুন। আর মনে রাখবেন এই সন্তানেরা এবং তাদের জন্য কষ্ট করাই আপনার সারা জীবনের আনন্দের পাথেয় হয়ে থাকবে।
Leave a Reply